পাবলিক পরীক্ষার সময় ফ্রিল্যান্সার কোচিংগুলো বন্ধ না করার দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেশ (অ্যাসেব)। রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীতে সংগঠনটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা জানান, এসএসসি, এইচএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, পরিবহন, বিতরণসহ কোনো প্রক্রিয়ার সাথে ফ্রিল্যান্সারদের শ্যাডো এডুকেশন সেন্টারের শিক্ষকরা জড়িত নন। গত দু’বছর প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯০ জন চিহ্নিত ও গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের মধ্যে কোনো কোচিং শিক্ষক জড়িত নেই। বরং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নানা পদক্ষেপে বর্তমানে প্রশ্নফাঁস বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. ইমদাদুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মত এসএসসি পরীক্ষার সময় সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাহী আদেশে কোচিং প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। তা আমরা প্রতিপালন করি। কিন্তু দৃশ্যমান ফল হলাে, ওই বছর বিগত সময়ের মতই প্রশ্নফাঁস হয়।
আবার ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সময় সরকার কোচিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা ছিল। কিন্তু সেই বছর প্রশ্নফাঁস হয়নি। এ থেকে সহজেই প্রমাণ হয় যে, ফ্রিল্যান্সারদের পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সাথে প্রশ্নফাঁসের কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও বলা হয়, আমরা কেউ স্কুল কলেজের কোনাে কার্যক্রমের সাথে জড়িত নই। আমাদের হাতে ব্যবহারিকের ও এসবিএ (স্কুলভিত্তিক মূল্যায়ন) নম্বর নেই। আমরা কেউ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করি না, পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করি না। এছাড়া প্রশ্ন মুদ্রণ, সংরক্ষণ, পরিবহন বা বিতরণের সাথেও জড়িত নই। অর্থাৎ প্রশ্নফাঁসের সাথে আমাদের সংশ্লিষ্ট থাকার কোনো সুযােগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান। এটি বেকারদের অন্যতম অবলম্বন। আমরা সরকারকে নিয়মিত কর প্রদান করে থাকি, যা সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র হলেও ভূমিকা রাখে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান সোহাগ, শামসে আরা খান ডলি, মাহবুব আরেফিন, আকমল হোসাইন, পলাশ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।