মানব সভ্যতা এখন এক বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করছে। সম্ভবত আমাদের এই প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সংকট। করোনা ঝড়ে বিপর্যস্ত বিশ্বের প্রায় সব দেশ। ঘাতক এই ভাইরাসকে ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লকডাউন চলছে দেশে দেশে। তবে এতকিছু করার পরও কিছুতেই রোখা সম্ভব হচ্ছে না মারণ ভাইরাসের সুনামি স্রোত। বিশ্বজুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন কবে থামবে এই ঝড়?
তবে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানাচ্ছেন পিলে চমকে যাওয়া খবর। বলছেন এ প্রাণঘাতী ভাইরাস আরও ৪ বছর থাকতে পারে। তদের মতে, আগামী ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকবে করোনাভাইরাসের হুমকি। এ ভাইরাস মোকাবেলায় ২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হতে পারে। পাঁচজন গবেষকের এ গবেষণা মঙ্গলবার সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী দুই বছর টানা এক জায়গায় থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, বিষয়টি এমন নয়। তবে যদি করোনার কোন ভ্যাকসিন এই সময়ের মধ্যে আবিষ্কার না হয় তাহলে এটা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
গবেষকরা আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতির দিকে আরও নজর দেওয়া উচিত যেহেতু ভাইরাসটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে হার্ভার্ডের গবেষকদের এ পর্যবেক্ষণ হোয়াইট হাউসের পূর্বাভাসের একদম বিপরীত। হোয়াইট হাউস থেকে এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, এই গ্রীষ্মেই করোনাভাইরাস মহামারি দূর হয়ে যাবে। চীনের প্রধান ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডঃ ঝং নানশান দাবি করেছেন যে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো বিশ্ব বদলে যাবে। মানে আগের মতোই হবে। করোনার ভাইরাসের নতুন কেস আসা কমবে। পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস।
উল্লেখ্য, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি সত্ত্বেও করোনার বিস্তার ঠেকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ স্কুল, কলেজ, ও মার্কেট বন্ধ রেখে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছে। কভিড-১৯ এর কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২০ লাখ।
সূত্র-সাউথ চায়না মনিটরিং পোস্ট।