চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সাতবারের এমপি দবিরুল ইসলামের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালতের বিচারক। ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে এ রায় দেন বিচারক রাজীব কুমার রায়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বেশ কয়েকজনের কাছে প্রায় ৭১ একর জমি ক্রয় করে হাবিবুল ইসলাম বাবলু নামে এক ব্যবসায়ী। পরে ঐ জমিতে প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে গেলে সাবেক এমপির নেতৃত্বে তার লোকজন বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে ৫০ একরের বেশি জমি দখল করে নেয় আসামিরা। পরবর্তীতে জমি উদ্ধারে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয় ঐ ব্যবসায়ীর কাছে। টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় সাবেক এমপি দবি রুল সহ তার লোকজন।
এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে সাবেক এমপি দবিরুল ইসলাম, তার ছেলে সাবেক এমপি মাজহারুল ইসলাম সুজন সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ্য সহ আরে ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন হাবিবুল ইসলাম বাবলু। পরে আদালতের নির্দেশে বালিয়াডাঙ্গী থানায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি রুজু করা হয়।
এ মামলায় ২৩ অক্টোবর বুধবার সকালে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে রিমান্ড ও জামিন বাতিল করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন বিচারক। মামলার বাদি হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, রিমান্ড নিলেই সব স্বীকার করতেন। যেহেতু রিমান্ড মঞ্জুর হয়নি। তাই ন্যায় বিচারের জন্য প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন জানান, হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি দবিরুল ইসলামকে তোলা হয় আদালতে। আজ রিমান্ডের শুনানি ছিল। রিমান্ড ও জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ দেন
গত ২ অক্টোবর দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে বিজ্ঞ আদালতের বিচারিক রহিমা খাতুনের মুখোমুখি করা হলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মাধ্যমে রাজনীতিতে যুক্ত হন দবিরুল ইসলাম। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী হিসেবে ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। সিপিবি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে লড়ে জয়ী হন তিনি।