খাবারে চেতনা নাশক প্রয়োগ করে চুরি – মালামাল সহ আটক দুই।
খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মুমূর্ষু অবস্থা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিড়েছেন মা ও ছেলে। এ বিষয়ে চুরির মালামাল সহ দুই চোর কে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রামে। সূত্রে জানা যায়, ৩ নভেম্বর সন্ধা আনুমানিক সারে ছয়টার সময়ে দুর্বৃত্তরা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিশে রেখে গা ঢাকা দিয়ে থাকে। প্রতিদিনের মতো রাত আনুমানিক দশ’টা থেকে এগারো টার ভিতরে রাতে খাবার খাওয়ার প্রস্তুতি শেষ করে দ্রুত শুয়ে পরেন, মাহিনুর বেগম (মা) ও দশ বছরের শিশু আজিজুল। পরের দিন ৪ নভেম্বর সোমবার সকাল দশটা পর্যন্ত মা ও ছেলের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে, বাড়ির লোকজন জানালা দিয়ে দেখতে পায়, মা ও ছেলে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের সহযোগীতায় গলাচিপা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তারদের চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে জানান, দুর্বৃত্তরা তার পরনে থাকা গলা, কানের স্বর্ণালংকার, নগত টাকা ঘরের ভিতরে সোলার ব্যাটারি সহ চুরি করে নিয়ে গেছে। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ প্রদান করেন।
৪ নভেম্বর আনুমানিক সন্ধা সারে সাত’টার সময়ে আমতলী উপজেলার আঠারো গাছিয়া ইউনিয়ের ৬ নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার মির্ধার ছেলে মাহাতাব মির্ধা (৪০) চুরি কৃত সোলার ব্যাটারি আমখলা বাজারে বিক্রি করার সময়ে, বিট পুলিশের হাতে আটক হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জরিত ব্যাক্তিদের নাম পরিচয় স্বীকার করে। চোর আটকের খবর শুনে অভিযোগ কারী মাহিনুর বেগমের মেয়ে সিমা, বাজারে উপস্থিত হয়ে তাদের ব্যবহারকৃত জিনিশপত্র শনাক্ত করলে, পুলিশের অভিযানে সু কৌশলে ৫ নভেম্বর গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে হাবিব মির্ধার ছেলে রাসেদুল (৩৪) কে আটক করে পুলিশ।
এবিষয়ে গলাচিপা থানার ওসি মোঃ আশাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সারা দেশে’ই কিছুনা কিছু বিছিন্ন ঘটনা হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার শতভাগ চেষ্টা করছেন, তার’ই ধারাবাহিতায় আমখোলা ঘটনার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে ৩৬ ঘন্টার ভিতরে’ই চুরিকৃত মালামাল এবং চেতনা নাশক ঔষধ সহ দু জন চোর’কে আটক করে প্রচলিত আইনে মামলায় জেল হাজতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। এছাও বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।