টঙ্গীতে সরকার পতনের পরে মাদক সম্রাজ্ঞী ময়না ও রোজীর মাদকের সম্রাজ্য।
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন উত্তর আরিচপুর কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ বস্তি”র মাদক সম্রাজ্ঞী ময়না বেগম ও তার ছেলের বউ রোজী অত্যাচারে অতিষ্ঠ নিরীহ এলাকাবাসী ময়না বেগম ফ্যাসিবাদী সরকারের আওয়ামী রাজনীতির সাথে জরিত ছিলেন।
তিনি গাজীপুর মহানগর ৫৬ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
ময়না বেগম এখনো আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন জমজমাট মাদক ব্যবসা, এলাকার ছোট বড় বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ রয়েছে এই মাদক ব্যবসায়ী ময়নার পরিবারের সকলেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তার পরিবারের সবার বিরুদ্ধে টঙ্গী থানা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মাদক মামলা।
বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল করে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ময়না বেগমের কাছে আসেন মাদকসেবীরা।
ময়না বেগম ও তার ছেলের বউ রোজী বেগম প্রতিদিন ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা হিরোইন সহ বিভিন্ন মাদক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রয় করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে ময়না বেগম ও তার ছেলের বউ রোজীর মাদকের চালান এনে তা বুঝিয়ে দেন তার একাধিক বিক্রেতার (সেলসম্যান) বিভিন্ন সময় র্যাব,ডিবি,সিআইডি ও পুলিশের অভিযানে মাদকসহ ময়নার সহযোগীরা গ্রেপ্তার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান এই কথিত মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী ময়না বেগম ও তার ছেলের বউ রোজী।
তার ছেলের রোজী এখন মাদক ব্যবসা করে হয়েছেন কোটিপতি।
শাশুড়ি ও ছেলের বউ রোজী”র অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন কো- অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ সহ টঙ্গীবাসী।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ময়না বেগম ও তার ছেলের বউ রোজী কক্সবাজার উখিয়া ও আখাউড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া নরসিংদী থেকে বড় মাদকের চালান এনে থাকেন।
এই মাদকের চালান বিক্রয় করতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন ছেলের বউ রোজী বেগম, বিয়াই সোলেমান ফরাজী, রানী,নাসির,স্বপন।
সরজমিন ঘুরে টঙ্গী ব্যাংকের মাঠ বস্তির কিছু ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন ময়না বেগম ও তার পরিবার মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি বনে গেছেন কোটিপতি গাজীপুর, টঙ্গী ফরিদপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে একাধিক বাড়ি।
তারপরেও ময়না বেগম থাকেন বস্তিতে বস্তিতে একটি খাজা বাবার আস্তানা গড়ে তোলেছেন এই আস্তানার আড়ালে বানিয়েছেন মাদকের সাম্রাজ্য।