কিস্তির টাকা দিতে না পেরে দর্জি দোকানীর আত্মহত্যা
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বাহির কুশিয়া গ্রামে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আজগর বেপারী (৪৮) নামে এক দর্জি ব্যবসায়ী। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করে নড়িয়া থানা পুলিশ।
আজগর বেপারী ওই এলাকার মৃত কালা চান বেপারীর ছেলে এবং ঘড়িসার বাজারের একজন দর্জি ব্যবসায়ী ছিলেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সংসারের অভাব দূর করতে স্থানীয় কয়েকটি এনজিও থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দুই ছেলেকে অবৈধ পথে বিদেশ পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ছেলেরা বিদেশ যেতে ব্যর্থ হয়। ফলে বিশাল ঋণের বোঝা নিজের কাঁধেই বহন করতে হয় আজগর বেপারীকে।
সামান্য দর্জি দোকানের আয় দিয়ে সংসারের খরচ মেটানোই যেখানে কঠিন ছিল, সেখানে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা তার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। প্রতিদিন কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পেরে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। শনিবার ৫০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধ করার কথা থাকলেও সেই টাকা কোনোভাবেই যোগাড় করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
আজগরের ছেলে দিপু বেপারী জানান, “গতকাল দুপুরে খাবার খেয়ে বাবা বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাসায় না ফেরায় আমরা ভেবেছিলাম তিনি পাশের গ্রামের মেলায় গিয়েছেন। কিন্তু সকালে খবর পাই বাড়ির পেছনের বাগানে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।”
নড়িয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবির হোসেন জানান, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আজগর বেপারী ঋণের চাপে ছিলেন। ঋণের বোঝা সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।