নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকার ১৫% ঘুষ হিসেবে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে একটি প্রকল্পের এক ভূক্তভোগী প্রকল্প চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান গত ২৫ জানুয়ারী নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগটিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শাষকান্দর গ্রামের এক প্রকল্প চেয়ারম্যান। আরো উল্লেখ করেছেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়ার আহাদ আলীর বাড়ি হইতে আইয়ুব আলীর বাড়ি পর্যন্ত সড়কের মাটি ভরাট ও সিসি করণের কাজ প্রকল্প চেয়ারম্যান হিসেবে ভালোভাবে সম্পূর্ণ করেন। কিন্তু সৈয়দপুর উপজেলার বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বরাদ্দকৃত ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার ১৫% ঘুষ হিসেবে নেওয়ার দাবী করে জোর পূর্বক টাকা কর্তন করে নেন এবং বলেন, এই টাকা আমাকে দিতেই হবে। তাই জোরপূর্বক নেয়া ঘুষের টাকা উদ্ধার করতে তিনি (প্রকল্প চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান) নীলফামারী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো একাধিক প্রকল্প চেয়ারম্যান বলেছেন, পিআইও আবু ছাঈদ ১৫% ঘুষের টাকা বুঝে নিতে তৎপর। এমনকি তিনি মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরসহ প্রায় সকল প্রকল্পেরই ঘুষের টাকা বুঝে নেন।
অপরদিকে, ওই পিআইও’র অধিনে আরো অনেক গুলো প্রকল্পের ব্যাপারে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় বেশির ভাগ প্রকল্পেরই কাজ অর্ধেক না হলেও তিনি ঘুষের টাকা বুঝে নিয়ে প্রকল্প পাস করেছেন। এ নিয়ে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও)’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে ১৫% টাকা নিতে হয় । কারণ, আমাকে বিভিন্ন অডিট ও অনেক জায়গায় ম্যানেজ করতে হয়। প্রকল্প চেয়ারম্যান দের এক ব্যক্তি জানান পি আইওর অফিসের মাধ্যমে যে বরাদ্দ আছে তা সঠিক ব্যবহার হলে এক বছরের মধ্যে এলাকার রাস্তাঘাটে মাটির কোন কাজ থাকবে না অথচ বরাদ্দের সিকি পরিমাণ কাজও হয় না।