বন্যায় কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষের দুর্ভোগ যেন কমছেই না
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার পানি কিছুটা কমলে ধীরে ধীরে পানি ঢুকতেছে নিম্নাঞ্চল এলাকার দিকে। উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে খুব তীব্র স্রোতে বেগবান হচ্ছে পানি। সংকট যেন বেড়েই চলছে মিরসরাইতে। একেক দিন একেক যায়গায় পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে হঠাৎ করেই।মানুষ বুঝে উঠার আগেই বিপদ সীমার উপরে উঠছে বন্যার পানি।
প্রতিদিন উদ্ধার ও ত্রান বিতরণ কর্মিগন কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। কোনো ক্লান্তি যেন তাদের দুর্বল করছেনা তাদের।মানবতার ফেরীওয়ালা হয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্র, সাধারণ জনতা, ও বিভিন্ন সংগঠন সহ রাজনৈতিক লোকেরা।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আবুর হাট, ঝুলনপুর, তৈতয়া,আজমপুর, মাদবারহাট,মুহুরী প্রজেক্ট সহ প্রায় ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয় গতকাল ২৫/০৮/২৪ রোজ শনিবার। আজ রবিবার শোনা যাচ্ছে পানি গড়িয়ে মিঠানালা রহমতাবাদ সহ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদসহ সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও বৃত্তবানদের তৈরীকৃত ভবনগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়।যেখানে শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের খাবারে ব্যাবস্থা করছেন এলাকার বিত্তবান মানুষ সহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে প্রায় হাজারো বসতবাড়ির। কিছু মানুষ তাদের বাড়িতে বোট যোগে গিয়ে পরিদর্শন করে এসে সংবাদের পাতা প্রতিনিধি কে বলে কিছুদিন পর পানি কমলে তাদের ঘর বা বাড়ি গুলো বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে গেছে।অস্বচ্ছল পরিবারগুলো কিভাবে বাড়ি মেরামত করবে বা বসবাস করবে সেই চিন্তা ও দুর্ভোগ সংশয় যেন কোনোভাবেই কাটছে তাদের।
অনেকে ভিডিও করতে বা ছবি তুলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে বলছেন, আমরাতো অসহায় ছিলাম না সচ্ছল ছিলাম। আজকে আমরা গৃহহীন হয়ে পড়লাম।মাথাগোজার ঠাঁই ও নেই। এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।তারা এটাও বলেন সংবাদের পাতাকে, যে বিপদে এগিয়ে এসে সবাই মানবতার পরিচয় দিয়েছেন কিন্তু কিছু অতি উৎসাহী সাহায্য কারী সাহায্যের চেয়ে ছবি ও ভিডিও নিয়ে যেন বেশি ব্যাস্ত।তাদের বুঝার উচিৎ যে এই মানুষগুলো অনেকে সচ্ছল পরিবারের মানুষ ছিলো।যারা ভিডিওর সামনে এসে সাহায্য নিতে খুব অস্বস্তি ও বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে হচ্ছে।যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।