শরীয়তপুরে মাদরাসার নেই কার্যক্রম, দানকৃত জমি নিতে চায় কমিটি!
দীর্ঘদিন ধরে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আটং গ্রামে আটং ফোরকানিয়া মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আব্দুল মালেক বেপারী নামে এক ব্যক্তি তার দানকৃত প্রায় সাড়ে ৪০ শতক জমি, ফসল দিতে চান না কমিটিতে। তবে ওই কমিটি জোর করে জমি নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল মালেক বেপারী ও তার ছেলেরা। এঘটনায় আটং এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে। তবে সরজমিনে গিয়ে আটং ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে কোন প্রতিষ্ঠান চালু পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক বেপারী ও তার ছেলে আমির হোসেন বেপারী জানান, ১৯৭৬ সালে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালেক বেপারীর প্রায় ৪০ শতাংশ জমির ফসল স্থানীয় আটং ফোরকানিয়া মাদরাসায় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর একটি চুক্তি হয় যে, যতদিন এই মাদরাসা থাকবে ততদিন এই ও জমির ফসল মাদরাসা পাবে। তবে, জমির আনুষাঙ্গিক খরচ মালেক বেপারীই বহন করবে এবং মাদরাসা না থাকলে পুনরায় ফসল ও জমি তার কাছে ফেরত যাবে। কিন্তু এর কয়েক বছর পরেই মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তাই, মালেক বেপারী জমি ফসল ভোগের সিদ্ধান্ত নিলে ওই মাদরাসা কমিটি ফসল ও জমি নিতে চায়।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় দুই পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সরোজমিনে ঘুরে দেখা যায় আটং ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে কোন মাদ্রাসা চালু নেই।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আব্দুল মালেক বেপারী বলেন, মাদরাসা যখন ছিলো আমরা তখন চুক্তি অনুযায়ী জমির ফসল দিয়েছি। চুক্তি অনুযায়ী মাদরসার যেহেতু কার্যক্রম নাই, তাই আমি জমির ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করি। মামলায় আমি ডিগ্রী পাই। তাই আমার জমি ও ফসল দিবো না। আমির হোসেন কোটারী নামেন এক জন একটি কমিটি করে এখন জমির ফসল নয়, সম্পূর্ন জমি তারা নিয়ে যেতে চায়। আদালতে মামলা ও করেছেন তারা। এ ব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।
অন্যদিকে, মাদরাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন কোটারী বলেন, তারা (মালেক বেপারী) যদি আইনে জমি পায়, তারা নিবে। আর মাদরাসা যদি পায় তাহলে জমি মাদরাসা নিবে।