১৭ বছর পর বিএনপি নেতার ভুড়িভোজের আয়োজন
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আনন্দে দীর্ঘ ১৭ বছর পর এক ভিন্নধর্মী ভুড়িভোজের আয়োজন করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক এক নেতা। এতে প্রায় ১০০ জন বিএনপি ও তার সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন। রকমারি খাবারের মধ্যে ছিল গরু মাংস, মুরগির রোস্ট, রুই মাছসহ আরও হরেক পদের খাবার। দলে দলে লোকজন এসে সাচ্ছন্দ্যে খাবারের স্বাদ গ্রহন করেন।
আনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনাব আব্বাস রশিদ। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক ও উক্ত ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি নগরের পাহাড়তলী থানার সাবেক যুবদলের সভাপতির পদে থেকেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুরু করে কাট্টলীর সুলতান আহমেদ চেয়ারম্যান বাড়িতে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। ভোজন বিলাসের আয়োজন করতে পেরে খুশি এই বিএনপি নেতা। তিনি জানান উক্ত ওয়ার্ডে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই আয়োজন তার।
আব্বাস রশিদ বলেন, গত ১৭ বছর ধরে জেল, জুলুম, নিপীড়নের শিকার হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিসহ সহযোগী দল। আমাদের প্রতিটি দিন খুবই কষ্টের মধ্যে গিয়েছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত হয়েছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এজন্যই সবাইকে নিয়ে ভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সবাইকে আনতে পেরে আনন্দিত আমি।
এর আগে আগত বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহব্বায়ক জনাব মঞ্জুর আলম মঞ্জু। তিনি এই আয়োজনে আসতে পেরে খুশি। এটি উক্ত ওয়ার্ডে বিএনপির মাঝে ঐক্যের সৃষ্টি করবে বলেও জানান তিনি। বিএনপি নেতা মঞ্জুর আলম মঞ্জু বলেন, চট্টগ্রামের কাট্টলী বিএনপি নেতাদের ভ্রাতৃপ্রেমী উদাহরণ সৃষ্টি করে আসছে। এখানে প্রতিদন্ধী থাকতে পারে তবে আমাদের মাঝে কোন প্রতিহিংসা নেই। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে একতাবদ্ধ এক অন্য নজির স্থাপন করেছে এই এলাকা।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরও অনেক বিএনপির নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করায় তারা ধন্যবাদ জানান আব্বাস রশিদকে।