১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। দিবসটি সামনে রেখে জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। দিবসটিকে উপজীব্য করে তৈরি আরও নানা সামগ্রী তাঁরা বিক্রি করছেন।
এছাড়া দেয়াল, স্কুলের আঙিনা, প্রতিষ্ঠানের অন্দর থেকে শুরু করে সবখানেই কাগজের পতাকা দিয়ে সাজানোর ধুম পড়ে। শিশুদের থাকে কাগজের পতাকার প্রতি ঝোঁক। আবার কাপড়ের পতাকার দিকেও রয়েছে আগ্রহ। রাজধানীতে কনসার্ট বা উত্সবের আয়োজনের সঙ্গে তাই এখন চলছে পতাকা বিক্রির ধুম। বাড়তি লাভের আশায় অনেক বিক্রেতাই বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করেন। ইতিমধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বা ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানে দোকানদারদের পতাকা বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
বিজয় দিবসের পটভূমিতে রয়েছে দুই শতকের আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস। এদেশের মানুষ পরাধীনতার গ্লানি বহন করেছে দীর্ঘকাল। প্রথমে ব্রিটিশদের হাতে, এরপর পাকিস্তানিদের হাতে আমরা পরাধীন হই। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর আসে পাকিস্তানি শাসন। পাকিস্তানের শাসকরা বাঙালিদের ওপর আধিপত্যবাদ ও দমননীতির পথ বেছে নেয়। তারা আমাদের জাতীয় জীবনের সমুদয় মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এমনকি আমাদের মাতৃভাষাকে কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তাই ব্রিটিশদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পাকিস্তানিদের কবল থেকে আমাদের মুক্তির লড়াই। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৯০ হাজার সৈন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সম্মিলিত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতা।
স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ মমিন মজুমদার