অসাধ্য সাধনের পথে ছিলেন রাজশাহী রয়্যালসের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে দলকে অবিস্মরণীয় এক জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মালিকের সে মিশনে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন তারই স্বদেশি পেসার মোহাম্মদ আমির। একইসঙ্গে গড়লেন বিপিএল ইতিহাসের রেকর্ড।
রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপকে একাই গুঁড়িয়ে দেয়া বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৬টি উইকেট। যা কি না বিপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড। আমির ভেঙে দিয়েছেন তারই স্বদেশি পেসার মোহাম্মদ সামির রেকর্ড। ২০১২ সালের আসরে দুরন্ত রাজশাহির হয়ে মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সামি।
কোয়ালিফায়ার-১ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের করা ১৫৮ রানের জবাবে মাত্র ৩৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল রাজশাহী। সেখান থেকে তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় অসম্ভব এক জয়ের পেছনে যাত্রা শুরু করেন মালিক। কিন্তু ১৮তম ওভারে তাইজুল ও মালিক- দুজনকেই সাজঘরে পাঠিয়ে খুলনার জয় নিশ্চিত করে দেন আমির।
সেটি ছিলো আমিরের শেষ ওভার। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হজম করলেও দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে ঠিকই তাইজুল ও মালিককে আউট করেন আমির। এর আগে ইনিংস ও নিজের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই লিটন দাসকে আউট করে উইকেট বৃষ্টির সূচনা করেন আমির। যা চলমান থাকে শেষ ওভার পর্যন্ত।
প্রান্ত বদল করে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয়বারের মতো বোলিংয়ে আসেন এ বাঁহাতি পেসার। এবার তার শিকার জোড়া উইকেট। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং প্রথম স্লিপে ধরা পড়েন অলক কাপালি। আর নিজের তৃতীয় ওভারে তিনি শিকার করেন দ্য বিগ ফিশ আন্দ্রে রাসেলের উইকেট। যা রাজশাহীকে পুরোপুরি ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
তবু যা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন মালিক। ১৮তম ওভারে নিজের স্পেল শেষ করতে সেই সম্ভাবনাও গুঁড়িয়ে দেন আমির, গড়েন বিপিএল ইতিহাসে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
বিপিএল ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার
১. মোহাম্মদ আমির (খুলনা টাইগার্স): ৪-০-১৭-৬ বনাম রাজশাহী রয়্যালস (সপ্তম আসর)
২. মোহাম্মদ সামি (দুরন্ত রাজশাহী) : ৩.২-০-৬-৫ বনাম ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (প্রথম আসর)
৩. ওয়াহাব রিয়াজ (ঢাকা প্লাটুন): ৩.৪-১-৮-৫ বনাম রাজশাহী রয়্যালস (সপ্তম আসর)
৪. কেভন কুপার (বরিশাল বুলস): ৪-১-১৫-৫ বনাম রংপুর রাইডার্স (তৃতীয় আসর)
৫. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস): ৩.৫-০-১৬-৫ বনাম রংপুর রাইডার্স (পঞ্চম আসর)